মহামারী করোনায় পৃথিবীর স্বভাবিক গতিতে পরিবর্তন এনেছে সকল ক্ষেত্রে। পরিবর্তন হচ্ছে আমাদের স্বাভাবিক চাহিদার।
আর এই পরিবর্তনের বেশীর ক্ষতিগ্রহস্ত হয়ে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। বেশির ভাগ সময় কাজ ও বেতন না পাওয়া হতাশা গ্রহস্ত প্রবাসীরা। সরকারি দপ্তর বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভিসা ও পাসপোর্ট জটিলতা যেন প্রবাসীদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
ভিসার আবেন করে যেমন ভিসা সময় মত না পেয়ে হতে হচ্ছে অবৈধ।
সময় মত পাসপোর্ট হাতে না পেয়েও হতে হচ্ছে অনেকে অবৈধ।
অবৈধ অভিবাসী যারা আছেন তারাও আবার দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট না পেয়ে বৈধ হওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারছে না।
এ সব কিন্তু এখন মালয়েশিয়া বাংলাদেশ প্রবাসীদের বাস্তব চিত্র।
সাইফুল ইসলাম, ১৫/০১/২০২১ তারিখ পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন পোস্ট লাজুর মাধ্যমে বাংলাদেশ হাইকমিশনে। আজকের প্রতিবেদন লেখার সময় পযন্ত প্রায় ৬ মাস হলো সাইফুল ইসলাম পাসপোর্ট হাতে পায় নাই, গত এক সপ্তাহ ধরে অনলাইনে এপ্যামেন্ট নেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। এদিকে মালয়েশিয়া সরকারের বৈধ হওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে চলিত মাসের ৩১ জুন পযন্ত।
শেষ পযন্ত সাইফুল ইসলাম পাসপোর্ট না পেয়ে হত বৈধ হওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারে না।
সাইফুলের মত হাজার প্রবাসীর একই অবস্থা।
এ দায় কার রাষ্ট্রের না সাইফুলের??
আনিস শেখ ০২/০২/২০২১ তারিখ সে সহ তার অনেক বন্ধু এক সাথে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য পোস্ট লাজুর মাধ্যমে আবেদন করেন, কিছু দিন হলো তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
কোম্পানি তাদের ভিসা লাগিয়ে দিতে পারছে না পাসপোর্টের অভাবে।
এর মধ্যে একজন (নাম বলতে অনইচ্ছুক)কোন এক দালালের সাথে যোগাযোগ করে গত দুই মাস আগে পাসপোর্ট হাতে পেয়েছে অথচ দূতাবাস ৫ মাস হয়ে গেলেও তাদের হাতে পাসপোর্ট দিতে পারলেন না।
দূতাবাসের পাসপোর্ট সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের একই উত্তর বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট না দিলে তার কি করবেন।
অথচ অনলাইনে প্রাচার করে ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট গ্রাহকদের কাছে দিয়ে দিয়েচ্ছে কিছু দালাল।
হাতে পাওয়া পাসপোর্ট গুলো আসল কি নকল সেটাও জানে না অসহায় প্রবাসীরা।
অভিযোগ আছে এই দালাল চক্রের সাথে দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখার কিছু কর্মকর্তা ও সাংবাদিক দালালদের হাত আছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।